মঙ্গা নিয়ে লেখা-লেখির কোন চিন্তা আমার ছিলো না। চাকুরির সুবাদে ২০২০ সালে ডিসেম্বর মাসে রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মের কারণে অনেক মানুষের সঙ্গেই ওঠা বসা হতে শুরু করে। প্রসঙ্গক্রমে উত্তর বঙ্গের মানুষের জীবন, জীবিকা ও অনগ্রসতার কারণ নিয়ে বহুবিদ আলোচনা হতে থাকে। কখনো বা উঠে আসে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর উন্নয়নের কথা।
কখনও উঠে আসে অসহায় মানুষের জীবন কথা, এসকল বিষয়ের প্রাসঙ্গিক আলোচনাক্রমে ঠাকুরগাঁও শহরের একজন ব্যবসায়ী ঠাকুরগাঁও স্টেশন ক্লাবে বসে গল্পের সময় অনুরোধ করেন উত্তরবঙ্গ নিয়ে লেখা-লেখি করতে। যেহেতু ইতো মধ্যেই আমার একাধিক কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে তাই তিনি অনুরোধ করেন উত্তর বঙ্গের মঙ্গা নিয়ে কিছু একটা লিখতে। এটি অনুরোধে ঢেকি গেলা নয়, নিজের একটি সুপ্ত ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে মঙ্গা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। মঙ্গা নিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলোচনা করি, ইন্টারনেটে তথ্য সূত্র খুঁজতে চেষ্টা করি। খুঁজে পাই উত্তর বঙ্গে আর মঙ্গা নাই। হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে। দেশের নেতা ও রাজনৈতিক নেতৃবর্গ বলে থাকেন উত্তর বঙ্গে মঙ্গা নেই। মঙ্গা আজ এক ইতিহাস, মঙ্গাকে আমরা যাদুঘরে পাঠিয়েছি। সত্যিকার অর্থে মৌসুমী দারিদ্য্র আর মঙ্গা কবলিত মানুষের দুঃখ কষ্ট দূরিভুত হয়েছে।
তার পরেও মঙ্গা নিয়ে আমার একান্ত অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ এ মঙ্গা নামক বইটি। যেহেতু কয়েকটি কবিতার একটি সংকলন তাই একে কাব্য নামে অভিহিত করার দুঃসাহস আমার নেই। কবিতার একজন পাঠক হিসেবে যদি কেউ আনন্দ পেয়ে যান কিংবা স্বার্থক না হওয়ার কষ্টে ব্যথিত হন তবে পাঠককুলের নিকট আমার অনুরোধ আশা করি বিষয়টিকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
এই বইয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি দুঃখিত। তবে দয়া করে কেউ যদি সংশোধনের সুযোগ বা পরামর্শ প্রদান করেন। তবে আমি কৃতার্থ হবো।
“জয় বাংলা” “বাংলাদেশ চিরজীবি হোক”। সকল মঙ্গা কবলিত মানুষের সৌভাগ্য ফিরে আসুক।
ড. লুৎফর রহমান, তোফা
Media LRT
Migration, Environment and Development Initiative Association