জন্ম: ১৮৯৮ খ্রি: মৃত্যু: ১৯৭১ খ্রি:
বীরভ‚ম জেলার লাভপুরের এক ক্ষয়িষ্ণু জমিদার পরিবারে ১৮৯৮ সালের ২৩ জুলাই তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। পিতার নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। আট বছর বয়সেই তিনি পিতাকে হারান। মা প্রভাবতী দেবী ও পিসিমা শৈলজাদেবীর তত্ত¡াবধানেই তিনি বড় হয়েছেন।
‘রসকলি’ গল্প দিয়ে পাকাপাকিভাবে তারাশঙ্কর বাংলা সাহিত্যজগতে প্রবেশ করলেন। তারপর একের পর এক প্রকাশিত হয় তাঁর ‘মেলা’, ‘ইমারত’, ‘নারী ও নাগিনী’, ‘জলসাঘর’, ‘যাদুকরী’, ‘ছলনাময়ী’, ‘রাইকমল’, ‘মালাচন্দন’, ‘তারিণী মাঝি’, ‘ডাইনী’, ‘খাজাঞ্চিবাবু’, ‘আখড়াইয়ের দীঘি’, ‘ডাক-হরকরা’, ‘অগ্রদানী’ ইত্যাদি গল্প। এর বাইরেও তাঁর আরো বেশ কিছু স্মরণীয় গল্প আছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস ‘চৈত্রালী ঘূর্ণি’ (১৯৩১)। কারাগারে থাকাকালীন তিনি এ উপন্যাস রচনা করেন। তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে ‘রাইকমল’, ‘ধাত্রীদেবতা’ (১৯৩৯), ‘কালিন্দী’ (১৯৪০), ‘কবি’ (১৯৪২১), ‘গণদেবতা (১৯৪২), ‘পঞ্চগ্রাম’ (১৯৪৪), ‘হাঁসুলী বাঁকের উপকথা’ (১৯৫৪), ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ (১৯৫৪), ‘নাগিনীকন্যার কাহিনী’ (১৯৫৫), ‘রাধা’ (১৯৫৭), ‘বিচারক’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। মানবজীবনের নানা জটিলতা ও নিগূঢ় রহস্য তাঁর এসব উপন্যাসে জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্টির স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘শরৎস্মৃতি পুরস্কার (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), জগত্তারিণী স্মৃতিপদক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়), রবীন্দ্র-পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, পদ্মশ্রী ও পদ্মভ‚ষণ উপাধি প্রভৃতি লাভ করেন।
এই মহান কথাসাহিত্যিক ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।