জন্ম: ১৯৩০ খ্রি: মৃত্যু: ১৯৯৮ খ্রি:
প্রকৃত নাম আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন। তিনি ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ শইখ শরফুদ্দিন এবং মাতা হালিমা শরফুদ্দিন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরদ শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মুতী প্রথম জীবনে শিক্ষকতা ও শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এদেশের জনপ্রিয় এই বিজ্ঞান লেখক বিজ্ঞানের নতুন উদ্ভাবন, আবিষ্কার ও প্রযুক্তির উন্নয়ন বিষয়ে অবিরাম লিখে গেছেন অনুপম ভাষায়। তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা ২৮। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: ‘বিজ্ঞান ও মানুষ’, ‘এ যুগের বিজ্ঞান’, ‘বিপন্ন পরিবেশ’, ‘বিজ্ঞান-জিজ্ঞাসা’, ‘সাগরের রহস্যপুরী’, ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ’, ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’, ‘আবিষ্কারের নেশায়’, ‘রহস্যের শেষ নেই’, ‘জানা-অজানার দেশে’, ‘তারার দেশের হাতছানি’, ‘আমাদের বিজ্ঞান কোন পথে’, ‘আজকের বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ’, ‘মহাকাশে কী ঘটছে’, ‘পরিবেশের সংকট ঘনিয়ে আসছে’ ইত্যাদি।
তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার, ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক কলিঙ্গ পুরস্কার, একুশে পদক, ড. কুদরাত-এ খুদা স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তিনি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বিজ্ঞান বিশ্বকোষ’-এর প্রধান সম্পাদক, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি এবং বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দিন ১৯৯৮ সালের ৩০ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।