আত্মকথা

ড. লুৎফর রহমান

আত্মকথা

ড. লুৎফর রহমান

কবিতা মানেই শব্দের খেলা এইক সাথে কবি মনের ভাবের বানী প্রকাশ করা ড. লুৎফর রহমান তোফা সেই চেষ্টায় কতখানি সফল হয়েছেন বিচার করার ভার পাঠকের উপর। আত্মকথা কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ এটি মনে করলে তার কাব্য প্রতিভার প্রতি অবিচার করা হয় না। আত্মকথা কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতা কাব্যিক ভাবাবেগ, শব্দ চয়ন ছন্দের মিল রয়েছে। কাব্যমোদি পাঠকদের কিছুটা হলেও তৃপ্ত করবে।

আত্মকথা

ড. লুৎফর রহমান

আত্মকথা

ড. লুৎফর রহমান

ছাপার পরিমান ……….. কপি

সর্বস্বত্ব : লেখক

দিরা প্রকাশন

৩৫ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০

মোবাইল নং : ০১৭১১৪৬১৯৪১, ০১৯১৬৮৬৫৩৫৩

প্রকাশকাল : বইমেলা, ২০১৮ ইং

প্রচ্ছদ : দ্বীপ ডিজাইন

১২/৬ পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা

মুদ্রণে : দ্বীপ প্রিন্টিং প্রেস

১২/৬ পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা

কম্পোজ : দ্বীপ কম্পিউটার

১২/৬ পুরানা পল্টন লাইন, ঢাকা

পরিবেশক : রাজু পাবলিকেশন্স

গণপ্রকাশন, কাটাবন, ঢাকা।

মূল : …………….

উৎসর্গ

আমার শ্রদ্ধেয় বাল্য শিক্ষক

আয়নাল ভাই ও নুরু ভাইকে

আয়নাল ভাই ৮ বছর বয়স হতে ২৬ বছর বয়স পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ বছর এবং

নুরু ভাই ১২/১৩ বছর হতে ৪০ বছর বয়স  ‍পর্যন্ত প্রায় দীর্ঘ ২৮ বছর আমাদের পরিবারের কৃষি কাজের দেখাশুনা ও নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

তাদের নিকট আমার বাল্য শিক্ষা শুরু হয়, তাঁরা দুজনেই আমাদের রক্তের সম্পর্কের কেউ নন কিন্তু আমাদের পরিবারের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ আমাদের পরিবারকে নতুন একমাত্রা এনে দেয়, যা আমাদিগকে এলাকায় পরিচিত করে তোলে।

তাদের ত্যাগ ও প্রদত্ত শিক্ষার প্রতি আমার আকুন্ঠ শ্রদ্ধা।

ভূমিকা

‘‘আত্মকথা” গ্রন্থটি তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। তিন সংখ্যাকে তত্বের বিচারে অলমানে বলা হলেও ‘‘তৃতীয় নয়ন” শব্দটি যেমন দৃষ্টির নতুন প্রসারতা এনে দেয়। তেমনি তৃতীয় এ কাব্যগ্রন্থ লেখা লেখির নতুন রুপ প্রকাশ করবে বলে আমার বিশ্বাস। পাঠক কূলই এর প্রকৃত বিচারক বলে বিশ্বাস করি।

‘‘আত্মকথা’’য় বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিষয় ভিত্তিক ধারণা আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠক মনে জাগতে পারে, কিন্তু সমাধান পাঠকের একান্ত নিজের। বিচার বিশ্লেষনে পাঠকের হৃদয়ের আকুলতাই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন হবে। আমি একজন ভাল পাঠক হতে গেয়ে নিজের মনের ভাবকে তুলে ধরতে চেষ্টা করছি। কতটুকু সফল তা পাঠক কূল বিচার করবেন। মনের একান্ত অনুভূতির বহিঃ প্রকাশেই আক্ষরিক বিন্যাস ‘‘আত্মকথা’’

প্রিয় বিদগ্ব পাঠক কূলের নিকট আমার সবিনয় নিবেদন তারা যেন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন আমার জ্ঞাত অজ্ঞাত সকল ভূলগুলো। নানা ব্যস্ততা ও যাপিত জীবনের ক্লান্তি ভুলে এ ক্ষুদ্র প্রয়াসের আক্ষরিক কাঠামো বিন্যাসে যারা উদার হস্তে এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলের প্রতি রইল কৃতজ্ঞা।

বিনীত

ড. লুৎফর রহমান তোফা।

সূচিপত্র

নববর্ষ ১৪২৬০৮নিঃ সঙ্গ নববর্ষ ১৪২৭৩৮
নিঃ সঙ্গ০৯নববর্ষের ভাবনা ১৪২৭৩৯
বাবা দিবস১০ধর্ম-কর্ম৪০
পুকুর পাড়১১অবরুদ্ধ৪১
স্রোতহীন কপোতাক্ষ১২অবরুদ্ধ ভালবাসা৪২
বিরহী বন্ধু১৩রেশন৪৩
স্বপ্নজ্বালে১৪মা দিবসের মা৪৪
দুঃখ১৫কবিতার গেরো৪৫
যা চাই১৬Ram Curry (ভেড়ার মাংস)৪৬
ভিক্ষুক১৭মৃত্যু৪৭
গেরামের পোলা১৮যাপিত জীবন৪৮
নীতি-নৈতিকতা১৯আমফান৪৯
টাকা২০সভ্যতার ধর্ষন৫০
মালেক২১প্রার্থনা৫১
খেজুর গাছ২২ছাগল৫২
পাহাড়ের ডাক২৩মোহ৫৩
পিপিলিকার মন২৪দত্ত বনাম কাজী৫৪
কলম২৫করোনার হালচাল৫৫
কাগজ২৬করোনা বাসিনী৫৬
নেতা২৭রজনীগন্ধা৫৭
স্থবীর জনজীবন২৮ক্যালেন্ডার৫৮
স্বাধীনতার সুফল২৯ক্ষমতার দম্ভ৫৯
স্বাধীনতার কুফল৩০শক্র নিবাস৬০
লক ডাউন৩১কেরানী বাবু৬১
জনমিতি৩২যমুনা পাড়৬২
রোদ৩৩হে কবি৬৩
ক্ষুদা৩৪দূর্ব্যবহার৬৪
করোনার সুফল৩৫হালুম৬৫
করোনার কুফল৩৬পূর্ণতা৬৬
কাক৩৭ঘোড়ার ডিম৬৭
নববর্ষ ১৪২৬   নববর্ষ ১৪২৬ এল ধরায় পূরনো আর জীর্নতার সবই রয়, নতুনকে আবাহনে ব্যস্ত সবাই রয় তবুও যে হতাশা আর প্রাপ্তি সঙ্গী হয়।   নববর্ষ ১৪২৬ এল ধরায় প্রকৃতির ভিন্ন আচরণে নীতিরা আজ ক্ষরায়, অতি আধুনিকেরা আজ ধূপ দিচ্ছে সরায় হিন্দি সিরিয়ালে কোলে বাঙ্গালীরা ধরায় ।   নববর্ষ ১৪২৬ এল ধরায় প্রকৃতির ভিন্ন রুপে বৈশাখে আষাঢ়ের বাদল পাড়ায় কিশোর কিশোরীর নাচাচ্ছে নতুন কায়ায়, হায়রে খাটি বাঙ্গালী বড়দের তোরা ফিরে আয় ধরায়।   
 নিঃসঙ্গ   নিঃসঙ্গরা আজ স্বপ্ন ভঙ্গে কখনও বা ভাঙ্গে আবার কখনও বা ঢঙ্গে, হাজার কালের ব্যথায় নানা ঢঙ্গে মনের আশা মিলে যায় ভঙ্গে।   নিঃসঙ্গরা আজ স্বপ্ন ভঙ্গে কখনও বা উঠে তুঙ্গে নতুন স্বপ্ন বঙ্গে, ধপাস করে পাতাল পুরীর অঙ্গে কচি খড় যাই পুড়াক স্বপ্ন যে ভাঙ্গে।   নিঃসঙ্গরা আজ স্বপ্ন ভঙ্গে হঠাৎ করে আলোর ঝলকানি নব অঙ্গে, কাঁচের ঘরের মত স্বপ্ন ভাঙ্গে আশার আলো হতাশার নতুন অঙ্গে।
   
বাবা দিবস   আজ বাবা দিবস ২০১৯ বাবার জীবনের নেই কোন উনিশ বিশ, আমরা কলম পেশা কেরানী তাইতো বাবার প্রতি নেই কোন হিসেব নিকেশ।   গভীর রাত, নিস্তব্ধ প্রকৃতি ঘুমানোর পূর্বে দিনের হিসাব মিলানো বাবা তোমাকে খুব মনে পড়ছে। তোমার বাবার ভিটা তোমার প্রিয়   আর আমার চাকুরী পেশা লেখালেখির নেশা, তাইতো তোমারআমার মিলন হয় না হর হামেশা তোমার জন্য চোখের কোনে জল সে যে আমার সাগর অতল।   আমার ঘর ভর্তি খাবার তোমার পছন্দের আচার, আল্লাহ যা দিয়েছে তাতেই আমার ঢেড় কিন্ত তোমাকে তো দিতে পারি না অদৃশ্য দেয়াল তুলেছে শনির দশা। বাবা আমায় ক্ষমা কর কারণ মনের মতন করে তোমাকে পালতে পারলাম না। 
 
  পুকুর পাড়   পুকুর পাড়ে বসে মোরা গল্পে মজি তাই সত্য-মিথ্যার বালাই নাহি তাই, সত্যের সাথে কল্পনার মিল খুজে পাই বাস্তবতার সাথে তাই তো কোন তাল নাই।   পুকুর পাড়ে বসে মোরা গল্পে মজি ভাই কল্পনার জগতে কল্প কাহিনী বানাই, কখন যে কার ঘাড়ে খড়স নামে ভাই এসো মোরা সত্য আর উন্নয়নের কথা গাই।   পুকুর পাড়ে বসে মোরা গল্পে মজি ভাই দুই দিনের দুনিয়ায় কোন ক্ষতি নাহি চাই, কর্মে আর ধর্মে মনুষত্বের স্বাক্ষর চাই আসুন মিলেমিশে মোরা ভাই ভাই।  
স্রোতহীন কপোতাক্ষ   কপোতাক্ষ আজ নতুন রুপে সেজেছে যশোরের ভৈরব থেকে জন্ম নিয়েছে, খুলনার খোলপটুয়ায় মিশেছে সময়ের স্রোতে নতুন ইতিহাস গড়েছে।   কপোতাক্ষ আজ নতুন রুপে সেজেছে গঙ্গা কপোতাক্ষ প্রকল্পতার ইতিহাস হরণ করেছে, কচুরী পানার আবাসে নতুন রুপে সেজেছে মাইকেলের স্রোতস্বিনী আজ মরেছে।   কপোতাক্ষ আজ নতুন রুপে সেজেছে হাজারও ভক্ত কূল তাকে দেখে কেঁদেছে, কপোতাক্ষ মাইকেলকে সাজিয়েছে আর পানি উন্নয়ন বোর্ড কপোতাক্ষকে বাঁচিয়েছে।   
 বিরহী বন্ধু   বিরহী বন্ধু আমার কাঁদে বসে বসে তাই না দেখে দুষ্টরা আজ হাসে, বিরহী বলে হারানোর বেদনা বুঝবে কিসে তোরা তো না পাওয়ার নতুন রসে।   বিরহী বন্ধু আমার কাঁদে বসে বসে দুঃখের জ্বালায় মেটায় কষ্টের কাঁধে বসে, বেদনা যে কাঁদায় ‍শুধু তা নয়, কখনও বাহাঙ্গে দুঃখ নিয়ে বিরহী বন্ধু নতুন বাসা বাধে।   বিরহী বন্ধু আমার কাঁদে বসে বসে সান্তনার সুরে কতনা কথা ভাসে, আকাশ পাতাল ভাবনার রসে কষ্টেরা নানা রঙ্গে ভাসে।  
স্বপ্নজ্বালে   স্বপ্নের জাল বুনে চলছি মোরা নিত্য নতুন চালাচ্ছি নতুন ঘোড়া, কোনটি সৌভাগ্যেবান আবার কেনটি কপাল পোড়া লাগামের নিয়ন্ত্রন ছাড়া চালাচ্ছি ঘোড়া।   স্বপ্নের জাল বুনে চলছি মোরা স্বপ্নে ভঙ্গে হচ্ছি দিশেহারা, হাজারো স্বপ্নে বিভোর মোরা কোনটি বা্স্তব, কোনটি কল্পনা, কোনটি দিশেহারা।   স্বপ্নের জাল বুনে চলছি মোরা শক্তি বায়ে চালাচ্ছি লাগামহীন ঘোড়া, নীতি নৈতিকতার নেই কোন বেড়া আমরা সবাই কুহেলিকার স্বপ্নচোরা।   
 দুঃখ   দুঃখ করোনা বন্ধু হও জগতের বন্ধু, হয়তো কেউ ভালবাসবেনা একবিন্দু আবার হাজারও জন ডাকবে তোমার বন্ধু।   দুঃখ করোনা বন্ধু তাতে বাড়ে নতুন কেতু, দুঃখের পাহাড়ে হতে হয় অন্ধসেতু নেই তো তার কোন হেতু।   দুঃখ করোনা বন্ধু তাতে আসবে অসাঢ়ের যদু অন্যেরা তাতে লুটবে মধু জগৎটাতে মোরা সবাই যদু মধু।    
যা চাই   গাছতলায় বসে লেখার লোক আমি নই সাহিত্যের নামে যা ইচ্ছে তার বলি হই, বাছ বিচারে তেমন পটু আমি নই মানুষের ভাল মূল্যায়নে ব্যস্ত রই।   গাছতলায় বসে লেখার লোক আমি নই নিঃসঙ্গ আর নির্জনতার প্রিয় হই, হাজারো ব্যস্থতায় একটু অবসর চাই দুষ্ট লোকের ইষ্ট চাই।   গাছতলায় বসে লেখার লোক আমি নই ঝিরঝিরে বাতাসে মৃদু আলোর সঙ্গ চাই, জোনাকি পোকার আলো চাই ঝড়, ঝঞ্জা, দুঃখ বেদনা যেন নাহি পাই।   
 ভিক্ষুক   ভিক্ষার পাত্র হাতে ঘুরি দ্বারে দ্বারে লোকেরা আমায় তাইতো ‍উপহাস করে, জ্ঞানের অন্বেষনে ধুরি বই বগল দাবা করে আধুনিক শিক্ষিত ধনীরা আমায় উপহাস করে।   ভিক্ষার পাত্র হাতে ঘুরি দ্বারে দ্বারে টাকা কামানোর বুদ্ধি নেই মোর মনে, পরিজন, প্রতিবেশী বন্ধু তাইতো বোকা বলে টাকা আর ক্ষমতা নেই বলে ঠাঁই এক কোলে।   ভিক্ষার পাত্র হাতে ঘুরি দ্বারে দ্বারে রিক্ত হস্তে ফিরি গৃহ কোনে বারে বারে, কোন এক অজ্ঞাত কারণে কেউ কেউ আদর করে তাই নিয়ে অনেকে ঠাট্টাতামাশা করে।    
গেরামের পোলা   আমি এক গৈ-গেরামের পোলা সদাই পেয়েছি ছলনা আর অবহেলা, নানা জন নানা ভাবে দেখায় কলা কোনটি বিশ্বাসের আবার কোনটি লীলা বিশ্বাস করতে নেই কোন অবহেলা।   আমি এক গৈ-গেরামের পোলা শৈশবে বেড়ে উঠতে পেয়েছে হেলা ফেলা, সাদা চামড়ার শালীনতার নানা মেলা কখনও বা দেখেছি কতনা লীলা খেলা।   আমি এক গৈ-গেরামের পোলা দেখছি নষ্টামি আর ভন্ডামির খেলা, শিক্ষিত মানুষের বর্বরতার নানা খেলা নাটকের আড়ালে অপকর্মে চালাচ্ছি ভেলা।   
 নীতিনৈতিকতা   আমরা দেখাচ্ছি নীতি নৈতিকতার খেলা পিছনে চলছে নীতিহীনদের ভেলা, ধনী গরীবের দ্বন্দ্বে চলছে নানা লীলা সমাজপতিদের কর্মে চলছে নানা অপলীলা।   আমরা দেখাচ্ছি নীতি নৈতিকতার খেলা সমাজ চলছে বাস্তবতার অবেলা, হাজারো কাজের মাঝে অকাজ ভাসচ্ছে ভেলা নীতি বানরা আজ চুলার আগুনের  ঢেলা।   আমরা দেখাচ্ছি নীতি নৈতিকতার খেলা শিক্ষার নামে বসছে অপশিমম্ব মেলা, নৈতিকতার আড়ালে নীতিহীনদের মেলা সবাই বলছে ইচ্ছামত চালাও ভেলা।      
টাকা   টাকার পিছে ঘুরছি মোরা জীবন আর নীতির দফা সারা, হন্যে হয়ে দিক বিদিক ঘুরছি মোরা আকাশ পাতাল ভাবনায় ব্যস্ত ধরা।   টাকার পিছে ঘুরছি মোরা শিক্ষার আড়ালে চলছে অশিক্ষার ঘোড়া, লাগামহীন দৌড়ে চলছি মোরা সত্যের নামে অসত্যের পাহাড় মোড়া   টাকার পিছে ঘুরছি মোরা টাকা কামাইতে জীবন সারা রোগ, শোক, দুঃখ করছে তাড়া নিতান্তই অবোধ, নীতিহীন মোরা।   
 মালেক   আমরা সবাই মালেককে চাই কারণ ভাবীদের মালেককে পছন্দ তাই, মালেকরা ভাবীদের কথায় উঠে বসে চলে তাই মালেকদের সংকারে অশান্তির বলেই নাই।   আমরা সবাই মালেককে চাই মালেকদের বা-মার কোন খোঁজ নাই, শশুর কূলের মনের মনোরঞ্জরে ব্যস্ত তাই ভাবীদের আনন্দের সীমা নাই।   আমরা সবাই মালেককে চাই জন্মদাতা পিতার মাতার কষ্টের শেষ নাই, পিতৃ কূলের আত্মীয়ের কোন ঠাই নাই শশুর কূলের সব কিছুতেই আধিপত্য ভাই।    
খেজুর গাছ   যশোরে যত্র তত্র খেজুর গাছ পুকুর আর নদীতে অনেক মাছ, যশোর রোডে শোভিত বিখ্যাত কড়ই গাছ খেজুর গুড়ের নেইকো তুলনা হলে পৌষ মাস।   যশোরে যত্র তত্র খেজুর গাছ মিলে মিশে একাকার গাছি আর গাছ, জীবন তালে মিশেছে নতুন নাচ যত্র তত্র চাষ করছে মাছ।   যশোরে যত্র তত্র খেজুর গাছ খেজুরের রয়েছে বাহারি সাজ, শীতের পিঠায় মিলছে নতুন সাজ খেয়ে সবাই দিচ্ছে নাচ।   
 পাহাড়ের ডাক   আয়রে তোরা পাহাড়ে যাবি আয় ক্ষণে ক্ষণে ডাক যে পড়ে আয়, চাকুরীর নিয়তি পাহাড় পানে ধায় নীতি নির্ধারকেরা চাকুরের কথায় দাবড়ায়।   আয়রে তোরা পাহাড়ে যাবি আয় চুল থেকে পান খসলে পাহাড়ের ভয় দেখয়ে, লেংটা থেকে দাদু, সবাই পাহাড় পানে চায় ক্ষমতাবান চাকুরেরা  কিসের ভয় দেখায়।   আয়রে তোরা পাহাড়ে যাবি আয় পাহাড় নিয়ে কিসের আবার ভয়, কেউবা বলে জঙ্গলে মঙ্গলই হয় তেলবাজ আর ক্ষমতাসীনরা সেথায় নাই।  
পিপিলিকার মন   পিপিলিকার মন ভাল নেই কেন যে ভাল নেই, তা বলার সুযোগ নেই, তাই তো অবলীলায় কষ্টের শেষ নেই দুঃখের দহনের জীবন, তার কোন শেষ নেই।   পিপিলিকার মন ভাল নেই ধারণ ক্ষমতা কম হলেও ভাবনার শেষ নেই, তাইতো অব্যক্ত বেদনার কথা কেই মিলের সুরে ঝাঁক বেঁধে তালে রই।   পিপিলিকার মন ভাল নেই পারিপার্শ্বিকতার চাপের শেষ নেই, তাকে বুঝার মত লোক কই অন্ত দহনে পুড়ে যে অংগার হই।   
 কলম   আমি কলম লেখা আমার কাজ যে যা লেখার তাই তো আমার সাজ, লেখার ক্ষেত্রে নেই কোন কাজ-অকাজ দু্ষ্ট লোকের লেখায় আমি তাইতো সলাজ।   আমি কলম লেখা আমার কাজ সত্য মিথ্যার নেই কোন ঝাঁজ, তাইতো জ্ঞানীরা বলেই সলাজ কালির অক্ষরে সবইতো নয় সত্যের জাহাজ।   আমি কলম লেখা আমার কাজ কালি থাকলেই লেখতে নেই কোন লাজ, সত্যের কাছে মিথ্যার নিয়তির কোলাজ সত্যের জয় হলে চলে আমার বাহাজ।    
কাগজ   কাগজ সভ্যতার এক অনন্য বাহন যার উপর রচিত হয় নানা কথন, কখনও বা সত্য বা মিথ্যার বহন দুঃখ নেই কোন নিয়ে লেখার ধরণ।   কাগজ সভ্যতার এক অনন্য বাহন নানা রঙ্গে নানা ঢঙ্গে সৃষ্ট নানা কাহন, কখনও বা মূল্যবান, কখন বা ধনবান সময় বলে প্রয়োজনের কাহন।   কাগজ সভ্যতার এক অনন্য বাহন জলমগ্ন  প্যাদিরাস হতে সৃষ্টির ধরণ, নানা রুপে সাজিয়েছে ধরণীর গড়ন ধন্যবাদ তোমার রুপের কাহন।     
 নেতা   একজন যোগ্য নেতা চাই যার কথা আর কাজে মিল পাই, দেশের জন্য ভাল কিছু করার উৎসাহ পাই দেশ আর দশের উন্নতির চিন্তায় শেষ নাই।   একজন যোগ্য নেতা চাই যার নেতৃত্বে উন্নয়নের সত্যিকার বলি পাই, শিক্ষ আর নৈতিকতার আদর্শ চাই কপট আর হঠ কারিতা খুঁজে নাহি পাই।   একজন যোগ্য নেতা চাই যার দিক নির্দেশনার সঠিক পথ নাই, হাজারও কষ্টের মাঝে আলো খুঁজে পাই ভাল মানুষের সকল গুনাবলী পাই।  
স্থবীর জনজীবন   করোনার আক্রমনে স্থবির জনজীবন দুঃখ আর কষ্টের নেই কোন বর্ণন, হাজারো সমস্যা আর কষ্টে চলছে জীবন নেই কোন আলোর আভাস চালাতে জীবন।   করোনার আক্রমনে স্থবীর জনজীবন ত্রাহি ত্রাহি করছে বাঁচতে জীবন, মহামারি ঘোষনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাগন বাংলাদেশের জনগন সরকার মানতে নানা অনুফান।

করোনার আক্রমনে স্থবীর জনজীবন পরিবারের কষ্টে কাটছে জীবন, ক্ষমতাসীন লুটেরা চালাচ্ছে নিত্য নতুন আগ্রাসন জীবন চালাতে চলছে নানা কষ্টের অনুশাসন।  
 
 স্বাধীনতার সুফল   স্বাধীনতার সুফল মোরা করছি ভোগ স্বাধীনতা নিয়ে নেই কোন অভিযোগ, স্বাধীনতার অপব্যবহারে নানা অনুযোগ তাতে কর্তা ব্যক্তির নেই কোন যোগ।   স্বাধীনতার সুফল মোরা করছি ভোগ ইচ্ছামত চলছি মোরা, করছি ভোগ, ভোগের মাঝে ঘোগের বাসায় দিচ্ছি দাগ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রয়েছি মোরা সজাগ।   স্বাধীনতার সুফল মোরা করছি ভোগ কর্তা-আর নেতার চালাচ্ছে নানা যোগ আম জনতার কষ্টের মাঝে স্বাধীনতার ভোগ সত্য বলতে মুখ খুলতে চলছে নানা যোগ।      
স্বাধীনতার কুফল   স্বাধীনতার নেই কোন কুফল আমরা স্বাধীনতার অপব্যবহারে সফল, স্বাধীনতার মূল্য না বুঝে করছি কতল ক্ষমতার মোহে করছি সব বহাল।   স্বাধীনতার নেই কোন কুফল কুশীলব আর ক্ষমতার চলছে চলাচল, আমরা যারা সাধারণ তারা মাকাল ফল কর্তারা চালায় ঘানি আর কল।   স্বাধীনতার নেই কোন কুফল ক্ষমতার অপব্যবহারে আমরা সফল, তাইতো নানা অপকৌশলে বানচ্ছি মাকাল ফল নিরাগত্ত হলে আমরা পাব পূর্ণ সুফল।     
 লক ডাউন   করোনার কারণে চলছে লক ডাউন হাল হক্কিতে চলছে লক ডাউন, কথায় কথায় ক্ষমতার শো ডাউন মানবতার আজ অদৃশ্য খাচায় লক ডাউন।   করোনার কারণে চলছে লক ডাউন বিদ্যা আর বুদ্ধির অভাবে লক ডাউন, বিদ্যাহীনরা চালাচ্ছে কথার শো ডাউন জ্ঞানীর মাথায় বুদ্ধি ঝাজে মিস ডাউন।   করোনার কারণে চলছে লক ডাউন নষ্টামির সকল পথে নতুন শো ডাউন, ধনীরা দেখাচ্ছে টাকা ও ক্ষমতার শো ডাউন গরীবেনা না খেয়ে মরছে কারণ চলছে লক ডাউন।    
জনমিতি   জনমিতির নামে চলছে অপরিমিতি হাজারও কথা আর কাজে নেই কোন নীতি, তথাকথিত দালাল আর চাটুকারে দেশ ভর্তি নীতি আর সত্যবানের ভাগ্যে করুন পরিনতি।   জনমিতির নামে চলছে অপরিমিতি কথা আর কাজে নানা দূর্নীতি সত্যকে ঢেকেছে মিথ্যার বেসাতি মেধার জ্বালে বন্দি সত্য চলছে তালসেমাতি   জনমিতির নামে চলছে অপরিমিতি কথকতায় দরদ বাস্তবে নেই কোন নীতি, নেতার কথা আর কাজে চলছে বেতালনীতি কর্তারা আজ জীবন ও সুনাম বাঁচাতে করছে আকুতি।   
 রোদ   রোদ্রের মাঝে চলছে আলো আধারের খেলা দিনের বেলা রোদ করছে হোলি খেলা, রাতের আধার নিয়ে রোদের কষ্টের মেলা দর্শক সারির সে সকল নিয়ে কৌতুহল আর অবহেলা।   রোদ্রের মাঝে চলছে আলো আধারের খেলা নানা কাজে ব্যস্ত মোরা চলছে কাজ নিয়ে ঠেলা সূয বলে আমি আছি বলে তোদের এ সব লীলা চাঁদকে পেলে তোরা খেলবি নতুন খেলা।   রোদ্রের মাঝে চলছে আলো আধারের খেলা সূযের আলোয় মানুষের ত্বক করছে কালা, পিছন ফিরে তাকা পাচ্ছিস ভিটামিন ডি’র ভেলা রোগ, শোক দুঃখে নেই কোন জ্বালা।    
ক্ষুদা   ক্ষদা আমার নাম সমস্যার জন্ম আমার কাম, পেটের ক্ষুদায় পাগল ধরাধাম হাজার সমস্যায় নেয় আমার নাম।   ক্ষদা আমার নাম পেটের ক্ষুদায় ভুলে যায় নাম, হাজার কালের অব্যক্ত বেদনার নাম মারতে ক্ষুদা কামাই হয় বদনাম।   ক্ষদা আমার নাম মানুষকে দিক বিদিক বানানো আমার কাম, সময় অসময় বুঝে না আমার দাম ক্ষুদা  নিবৃত্ত না হলে চলে অকাম।   
 করোনার সুফল   আমরা করোনার সুফল ভোগ করছি বউ বাচ্চা নিয়ে মুরগী মসলায় খাচ্ছি, টকশোতে বড় বড় কথা বলছি টিভির পর্দায় দানদখিনার মহরত দেখাচ্ছি।   আমরা করোনার সুফল ভোগ করছি গরীব অসহায় মানুষেরা না খেয়ে মরছি, পেটের জ্বালায় রাস্তার বের হয়ে মার খাচ্ছি মিডিয়অর দেদারচ্ছে প্রচার চালাচ্ছি।   আমরা করোনার সুফল ভোগ করছি সিংহভাগ মানুষের সম্পদ গুটি কয়েক জন চুরি করছি, চাল চোর, কথা চোর বা ইস্ত্রি দেয়া কাপড় পড়ছি অসহায় কর্মহীন গরীব মানুষেরা নিয়তির দিকে তাকাচ্ছি।    
করোনার কুফল   করোনার কুফলের নেইকো শেষ হাজারও কথার বর্ণনায় অশেষ, পেটের ক্ষুদায় মরছে মানুষ চাটুকরেরা উড়াচ্ছে ফানুস।   করোনার কুফলের নেইকো শেষ চলাফেরায় রয়েছে বিধি নির্দেশ, খাবার জোগাড়ের নেইকো লেশ বুলি উড়াচ্ছে নেতারা, হতাশার নেই শেষ।   করোনার কুফলের নেইকো শেষ বিনা চিকিৎসায় মরছে বেশ, টেবিল টকে চলছে মিথ্যার বেশ কত যে কষ্ট বলে করা যাচ্ছে না শেষ।   
 কাক   কাক বলে আমাকে অবহেলা কর না আমি তোমাদেরই করুনা, আমাকে দেখলে দেও তাড় না তোমার মনে নানা দুষ্ট ভাবনা।   কাক বলে আমাকে অবহেলা কর না আমি দুষ্টের দুষ্টের দুত বলে তোমার ধারণা, পশ্চিমা বিষেধ আমি কল্যানের বর্ষনা সেখানে আমায় করে তারা আরবি না।   কাক বলে আমাকে অবহেলা কর না আমার কালে চেহারার রয়েছে বর্ণনা, বিশ্বের অন্য দেশে আমি সাদা বরুনা স্থান, কাল পাত্র ভেদে আমাকে নিয়ে নানা ধরে না।    
নিঃ সঙ্গ নববর্ষ ১৪২৭   আজ নিঃ সঙ্গ নববর্ষ ১৪২৭ ঘরে ঘরে চলছে হা-হুতাশ, জীবন মরনের সন্ধিক্ষনে বাচার আশ ভাগ্য আর নিয়তির পানে নববর্ষ ১৪২৭   আজ নিঃ সঙ্গ নববর্ষ ১৪২৭ করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রনে ধরার শ্বাস, প্রকৃতি আজ শিক্ষকের ভূমিকায় চালাচ্ছে ত্রাস নামী দামী মানুষেরা আজ একাকীত্বে করছে বসে।   আজ নিঃ সঙ্গ নববর্ষ ১৪২৭ প্রানের স্পর্শে করোনার সাহস, হে প্রকৃতি, হে মালিক দাও সাহস মোরা যেন জয় করতে পারি করোনার ত্রাস।     
 নববর্ষের ভাবনা ১৪২৭   হে বন্ধু, কি ভাবছো বসে তোমার সাথে আমি আছ মিশে, নিয়তি মোরে ঠেলেছে হাজার ক্রোশে তোমার স্পর্শ আছে সদা মিশে।   হে বন্ধু, কি ভাবছো বসে আমি আছি তোমার পিঞ্জরের পাশে, নিয়তি মোর রয়েছে তোমার সাথে মিশে চলছি মোরা সদাই মিলে মিশে।

হে বন্ধু, কি ভাবছো বসে মিলনের সুখ রয়েছে মোদের পাশে, আমরা গেথেছি ইতিহাসের মালা মিলে মিশে চলতে চাই মোরা সুখ-দুঃখের আবেশে।    
ধর্মকর্ম   ধর্ম নিয়ে যার ভাবনা কর্মে কিসের ভয় ধর্মের মাঝে কর্মের বানী রয়েছে নিশ্চয়, অনাদি কাল ধরে ধর্মের আচার বয় কর্মের মাঝে ধর্মের প্রভাব বয়।   ধর্ম নিয়ে যার ভাবনা কর্মে কিসের ভয় ধর্মের পথ দেখায় কর্মের ফল নিশ্চয়, ধর্ম কর্ম নিয়ে বিরোধ সদা হয় সেটা জ্ঞানীর কর্ম নয়, মুর্খেরই হয়।   ধর্ম নিয়ে যার ভাবনা কর্মে কিসের ভয় যুদ্ধে আর বিরোধে ধর্মের জয় হয়, ধর্ম নিয়ে নানা জন যুদ্ধে লিপ্ত হয় কর্মের মাঝে ধর্ম বেচে থাকে নিশ্চয়।   
 অবরুদ্ধ   মানুষ আজ অবরুদ্ধ তা নিয়ে নানা জন অতি ক্ষুব্দ, হাজার কালের বেদনা যেন রুদ্ধ মনের ভয়ে আমরা ঘরে আবদ্ধ।   মানুষ আজ অবরুদ্ধ চলছে কামান, বন্দুক সৈন্যহীন যুদ্ধ, প্রকৃতির খেয়ালে আমরা ঘরে বদ্ধ করোনার প্রভাবে চারিদিক স্তব্ধ।   মানুষ আজ অবরুদ্ধ চিন্তার স্বাধীনতা আর বিবেকের কাছে বাক রুদ্ধ, তাইতো প্রকৃতি আজ আপন খেলায় অতি রুদ্র সব ভুলে মানুষ হবে একদিন একতাবদ্ধ।    
অবরুদ্ধ ভালবাসা   ভালবাসা আজ অবরুদ্ধ সন্তান পিতাকে ভালবাসাকে করেছে বাক্সবদ্ধ, করোনার যন্ত্রনায় ভালবাসা বদ্ধ যুবক যুবতীর ভালবাসা আজ বাকবদ্ধ।   ভালবাসা আজ অবরুদ্ধ জনগনের প্রতি নেতার ভালবাসা ফ্রিজে বদ্ধ, ভোটের বেলায় নেতা সশ্রদ্ধ বিপদে আজ জনগনের জন্য দ্বার রুদ্ধ।   ভালবাসা আজ অবরুদ্ধ কেউ কাউকে ছোয়ায় নেই রুদ্ধ, হায়রে ভালবাসা তার দ্বার রুদ্ধ করোনার ভয়ে সকলে ঘরে রুদ্ধ।   
 রেশন   রেশনের চাল, ডাল, চিনি খাচ্ছি যা ইচ্ছে তা করে বেড়াচ্ছি, রেশন নিয়ে হাজারও তথ্য পাচ্ছি কোনটা মনগড়, কোনটা আবার বানানো পাচ্ছি।   রেশনের চাল, ডাল, চিনি খাচ্ছি রেশন বেঁচে কেউ চোর হচ্ছি, কেউবা না তুলে চোরের খাতায় নাম লেখাচ্ছি রেশন নিয়ে তুঘলকি কাভের খেলা দেখাচ্ছি।   রেশনের চাল, ডাল, চিনি খাচ্ছি রেশন কিনতে মোরা মরিয়া হচ্চি, রেশনের মালে ডিলারগণ কর্ম দিচ্ছি মোরা সদাই সাহায্যের নামে গরীবের পেটে লাথি দিচ্ছি।  
মা দিবসের মা   মাগো তোমায় আমি ভালবাসি তাইতো তোমার কাছে ছুটে আসি, ২০২০ সালের মা দিবসে নাহি আসি কারণ করোনার করাল গ্রাসে মোরা ভাসি।   মাগো তোমায় আমি ভালবাসি নিত্য নতুন নানা অজুহাতে হাসি, তোমার বিরহে আমি কান্নায় ভাসি আমার কাছের মানুষগুলো এ নিয়ে করে হাসাহাসি   মাগো তোমায় আমি ভালবাসি তোমার ত্যাগ আর স্মৃতিতে আমি ভাসি, হাজারও মনের কষ্ট নিয়ে নতুন করে হাসি তোমার ম্লান বদনে আমি তোমায় ছুটে আসি।   
 কবিতার গেরো   কবিতার খাতায় আজ গেরো পরেছে করোনার ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে, নানা চিন্তা এসে মাথায় ভর করেছে দুষ্টরা নানা অপকর্মের লীলা চালাচ্ছে।   কবিতার খাতায় আজ গেরো পরেছে নষ্টরা আজ প্রমোদ তরীতে নাহি ভাসছে, বাঁচার আশায় কর্তাকে ডাকছে আমায় মাফ করে দাও তর নাহি সইছে।   কবিতার খাতায় আজ গেরো পরেছে নানা পেশার মানুষ না খেয়ে মরছে, আধ মরা মানুষ তেলো শেষ গুতা মারছে চাল, ডাল, ভাত হীন কবিরা শুধু ভাবছে।    
Ram Curry (ভেড়ার মাংস)   ভেড়ার মাংস খেতে খুব ইচ্ছে করে তাইতো বুঝে ভেড়া ভ্যা ভ্যা করে, মালিক ভেড়াকে তাড়া করে ভেড়া মনের কষ্টে চুপ করে।   ভেড়ার মাংস খেতে খুব ইচ্ছে করে শুনে চাটুকরেরা গুনগান করে, কর্তার মনে দুষ্ট হাসির ঝিলিক মারে তাইতো দেখে চাটুকরেরা নতুন ফন্দি ঝাড়ে।   ভেড়ার মাংস খেতে খুব ইচ্ছে করে বাল্য কালের নানা স্মৃতি মনে পড়ে, ভেড়ার পাল লয়ে কৃষানের বেটা যায় নদীর পাড়ে ঘাস খাইয়ে, নাইয়ে বিকেলে বাড়ী ফেরে।   
 মৃত্যু   জন্মিলে মরিতে হবে বাঁচা নাহি যাবে, তবে মৃত্যু নিয়ে কেন লীলা খেলা হবে মৃত্যুর অধিকার আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিতে হবে।   জন্মিলে মরিতে হবে ক্ষমতার দাপটে কেন মারতে হবে, ক্ষমতা শেষে সবাই তাদের ধিক্কার জানাবে মায়া, মোহ, সম্পদ লোভ সব ছেড়ে তাদেরই মরিতে হবে।   জন্মিলে মরিতে হবে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেন টালবাহানা হবে, মৃতের সংখ্যা কম বেশী করে লাভ কি হবে পরিসংখ্যানের গরমিলে সময়ের স্রোতে তাকেই পড়তে হবে।    
যাপিত জীবন   এই তো জীবন কাটছে বেশ খাচ্ছি, দাচ্ছি, ঘুরছি নেইতো ক্লেশ, সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন বেশ সেই সংগে চায়ের কাপের সাথে ঝগড়া বেশ গিন্নীর ঝাকালো কথার রয়েছে রেষ।   এই তো জীবন কাটছে বেশ পাশের বাসার ভাই লোকটা ভাল বেশ, কেরানীর চাকরি করে ফ্ল্যাট কিনেছে বেশ গিন্নী বলে সে দিকে নেই তো কোন হুশ।

এই তো জীবন কাটছে বেশ নিত্য নতুন শাড়ি গহনার আবদারের নেইকো শেষ, তাতে আমার নেই কো কোন আবেশ গৈ-গেরামের মানুষ আমি চলছি তো বেশ।  
 
 আমফান   সকল আশায় আঘাত হেনেছে আমফান দুমড়ে ‍মুচড়ে একাকার, সব হয়েছে সমান, আশার গুভে বালির পড়েছে ছিটান প্রকৃতির রুদ্ধ মূর্তি করেছে আস্ফালন।   সকল আশায় আঘাত হেনেছে আমফান কীতি কর্মের নেই কোন বিভাজন গনিতের হিসাবে ক্ষতির পরিমানে ঘূর্নন বাতাসের গুতির সাথে মিলে যার ত্রানের পরিমান।   সকল আশায় আঘাত হেনেছে আমফান সরকারের কর্তারা ব্যস্ত বিতরণে ত্রাণ, ক্ষতিগ্রস্থের জীবনে চলে খাদ্যহীনতার আস্ফালন সাংবাদিকরা লিখছে, নিয়তিরা করছে ক্রন্দন।    
সভ্যতার ধর্ষন   সভ্যতার ধর্ষনের কথা  কই বা শোনে সেখানে যে লীলা খেলা চালায় গুনী জনে, সকলের তরে শ্রেষ্ট তারা সাধারনের সনে ভিতরে ভিতরে ব্যস্ত নষ্টমীর লীলা কীর্তনে।   সভ্যতার ধর্ষনের কথা কেই বা শোনে এক ভাঙ্গে তো আরেকটা গড়ে নতুন জনে, বাইরে তার রঙ্গের বিল মাকাল ফলের সনে ভিতরে সারবস্তর দেখা নাহি জনে জনে।   সভ্যতার ধর্ষনের কথা কেই বা শোনে আর্তনাদ আর চিৎকার ব্যস্ত ক্রন্দনে, দেখা নাহি চোখের জলের সনে মেকআপ আর প্যান কেকে ডেকেছে নয়নে।   
 প্রার্থনা   হে সৃষ্টিকর্তা, মসজিদ, মন্দির তুমি দিয়েছ প্রার্থনার মন ও দিয়েছ, কিন্তু প্রার্থনার প্রচন্ড অভাব দিয়েছ শয়তানের ধোসর ক্ষমতাও দিয়েছ।   হে সৃষ্টিকর্তা, মসজিদ, মন্দির তুমি দিয়েছ মসজিদে শয়তানের প্রবেশাধিকার দিয়েছ, হাজারও জাতের মানুষ দিয়েছ মত পথের নানা ভিন্নতা দিয়েছ।   হে সৃষ্টিকর্তা, মসজিদ, মন্দির তুমি দিয়েছ মন্দিরে লীলা কীর্তনের সুযোগ দিয়েছ, নষ্টামীর জ্বালে ভষ্টের খেলার সুযোগ দিয়েছ শেষ পরিনতিতে সঠিক বিচারের রায়ও দিয়েছ।    
ছাগল   ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা বলে গালি মারে ছাগলের বাচ্চাটি অস্তিত্বের জন্য লড়ে, মায়ের দুধের অধিকারে হাহাকার করে চিৎকার শুনে মা ছাগল পাছা নারে।   ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা বলে গালি মারে কৃষান বধু বাচ্চার জন্য লড়ে, একটিকে আটকিয়ে ধরে তিন নম্বর বাচ্চাটির দুধে পেট ভরে।   ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা বলে গালি মারে সুবিধা বঞ্চিতের মনের কষ্ট বাড়ে, সুবিধা ভোগীরা ক্ষমতার জন্য লড়ে নিয়তি যে সবার পিছু ধাওয়া করে।   
 মোহ   কিসের মোহে ঘুড়ছি মোরা চলছে জগৎ লাগাম ছাড়া, ইচ্ছে মত চালাচ্ছি মোহের ঘোড়া নীতি নৈতিকতার বালাই সারা।   কিসের মোহে ঘুড়ছি মোরা কান্ড জ্ঞানহীন নেতারা যে শিক্ষা ছাড়া, নানা হুকুমের বেড়া জ্বালে বদ্ধ মোরা সত্য বলে আমায় ঘর ছাড়া করলি তোরা।   কিসের মোহে ঘুড়ছি মোরা চাওয়া আর পাওয়া সব ছন্নছাড়া নেশার ঘোরে চলছে মোদের বল্দা ঘোড়া নিয়তি  মোদের সদ্য করছে ধাওয়া।    
দত্ত বনাম কাজী   দত্ত বাড়ীর নাম নেয়না কেউ কোথায় যে গেল তাদের ঢেউ, আজকাল কাজীরা চষে বেড়াচ্ছে কেউ কেউ তাদের নব্য দাপটে নেড়ি কুত্তারা করে ঘেউ ঘেউ।   দত্ত বাড়ীর নাম নেয়না কেউ ঘর, বাড়ী বেচে ও পারে পাড়ি জমিয়েছে কেউ কেউ, কাজীরা সে সব কিনে ঘরে লাগাচ্ছে নতুন টিনের ঢেউ দত্তদের বিলুপ্তিতে  কাজীদের দৌড়াত্বে চলছে ঢেউ।   দত্ত বাড়ীর নাম নেয়না কেউ সুন্দরী ললনা আর কোথায়ইবা দত্ত বাড়ীর বউ কাজী বাড়ীর মেয়েরা গাড়ি হাকাচ্ছে কেউ কেউ সময়ের স্রোতে কাজী বাড়ীতে এসেছে বিদেশী বউ। 
 করোনার হালচাল   ভাগ্যের খেলায় চলছে করোনার হালচাল জনগনের ইচ্ছায় চলছে কেনাবেচার ঢাল, মরছে মানুষ ধনী গরীব আর আবুল মাল কখন যে কে মরছে চলছে দোলাচাল।   ভাগ্যের খেলায় চলছে করোনার হালচাল ক্ষমতাবনেরা  চালাচ্ছে নানা চাল, সাধারণ মানুষের জীবনে নানা আকাল টাকা, ডাক্তার জিনিস থাকলেও চলছে চিকিৎসার আকাল।   ভাগ্যের খেলায় চলছে করোনার হালচাল কেউ বলছে চলছে জনসংখ্যা হ্রাসের নতুন চাল, মানবতার বিপর্যরে চলছে ঘোড়া টালমাটাল কখন যে কি হয় তা ভাবতে মোরা বেসামলে।    
করোনা বাসিনী   বিশ্ববাসী এখন করোনা বাসিনী নামে মুখে ঘোমটা পরা রমনী, আধুনিকতার জ্বালে নতুন ঢাকনী নামে মুখে মাস্ক পরা নতুন ধরনী।   বিশ্ববাসী এখন করোনা বাসিনী ক্ষমতাধর চাটুকরেরা অবরোধ বাসিনী, শিক্ষা দীক্ষা হীন গোবেচারা নয় আইনী তাইতো তারা ইচ্ছার চাকায় চালাচ্ছে তরনী।   বিশ্ববাসী এখন করোনা বাসিনী আল্লাহর শাসনে চলছে ধরনী, কর্তা আর নেতার মুখে হতাশার বানী হে আল্লাহ, হে প্রভূ, হে স্রষ্টা  রক্ষা কর ধরনী। 
 রজনীগন্ধা   কখনও কি রজনীগন্ধার কষ্ট নিয়ে ভেবেছেন তার বোঁটার স্নিগ্ধতা যে আপনি ম্লান করেছেন, তার গোড়াটি কেটে খাবার ধ্বংস করেছেন দু’বা তিন দিনের মধ্যে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।   কখনও কি রজনীগন্ধার কষ্ট নিয়ে ভেবেছেন আপনার হাত দিয়ে অন্যকে শ্রদ্ধার অর্ঘ অর্পন করেছেন, কখনও বা হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা ঢেলেছেন ভেবেছেন ? কি পরিমান কষ্ট দিয়েছে বিসর্জন।   কখনও কি রজনীগন্ধার কষ্ট নিয়ে ভেবেছেন জীবন বিসর্জন দিয়ে করেছে নিশ্চিত আপনার আপনি মত্র কয়টি টাকা দিয়ে কিনেছেন এক জীবন যা গাইছে আপনার জয়গান।    
ক্যালেন্ডার   ক্যালেন্ডারের পাতায় মোরা চোখ রাখি অনাগত দিনের সুখের খোজে মুখ রাখি, অতীতের স্মৃতিতে পুরানো পাতায় স্মৃতি মনে রাখি জীবন সমীকরণে হলে খাতায় হিসাব রাখি।   ক্যালেন্ডারের পাতায় মোরা চোখ রাখি পুরানো দিনের গ্লানি ভূলে বাধি নতুন রাখি, বোনের ভালবাসায় ভাইয়ের হাতে রাখি কিই বা এসে যায়, নতুন সম্পর্কে স্পর্শ রাখি।   ক্যালেন্ডারের পাতায় মোরা চোখ রাখি সদা ডাকা ভোরের প্রত্যাশায় সব পাখি, চিন্তার রাজ্যে মোরা বন্ধ করি আখি বিধাতার বেঁধে দেয়া নিয়তিতে মোরা অভিগামী পাখি।   
 ক্ষমতার দম্ভ   ক্ষমতার দম্ভে আত্মহারা মোরা ভুলে যাই সৃষ্টি কর্তার গড়া এ ধরা, ধনীরা আজ ক্ষমতার জোরে ধরাকে ভাবছে সুরা গরীবেরা আজ কষ্টে গ্লানিতে নীতি হারা।   ক্ষমতার দম্ভে আত্মহারা মোরা নীতে নৈতিকতার হয়েছে বালাই সারা, সত্যর অপলাপে মিথ্যারা চলছে মহড়া কোথায় গেলে শান্তি মিলবে তার নেই কোন সাড়া।   ক্ষমতার দম্ভে আত্মহারা মোরা আবাল বৃদ্ধ বনিতা, কারো নেই নৈতিকতর সাড়া, নেতার হাতে জনতার অধিকার আজ মরা কোথায় গেলে মিলবে মোদের সত্যের ছড়া।    
শত্রু নিবাস   আমরা সবাই শত্রু নিবাসীত কাছের মানুষটি প্রয়োজনে করে ঘুষাঘুষি, স্বার্থের দ্বন্ধে মোরা পরবাসী সদা খুজি সুযোগের নতুন হাঁকা হাসি।   আমরা সবাই শত্রু নিবাসীত একসাথে চলছে ফিরছে খাচ্ছে করছে অবিশ্বাসী, সুযোগ আর স্বার্থ শেষে হচ্ছে নতুন সাহসী জন্মগত ভাবে খারাপ লোকেরা খুজে নতুন অভিবাসী।   আমরা সবাই শত্রু নিবাসীত বিশ্বাস ঘাতকতার ইতিহাসে অতি পাটরসী, খারাপ লোকেরা ভাল সেজে দিচ্ছে হাসি ভালো লোকের নিরভিতে সদা দুঃখের হাসি।   
 কেরানী বাবু   কেরানী বাবুর জীবন বড়েই বিচিত্র হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর ধমক খাওয়াই যে অতি পবিত্র, সকালে সুখ তো বিকালে নতুন চিত্র হাজারও চতিত্রের মানুষ যেন তার শক্র-মিত্র।   কেরানী বাবুর জীবন বড়েই বিচিত্র কর্তার কথায় নিমিত হয় তার চলচিত্র, উপর নিচের কর্মচারীরা দোষ ধরায় বিচিত্র কপালের বলিরেখা তার সদা চরিত্র।   কেরানী বাবুর জীবন বড়েই বিচিত্র দু-চার পয়সা কামাই হলে বুজে তার নেত্র, সামলাতে গিয়ে হৃদপিন্ডের পরিবতিত ক্ষেত্র কৌশল আর বুদ্ধিতে চানক্যের নতুন ক্ষেত্র।    
যমুনা পাড়   যমুনার খেলা দেখে মোরা পাড়ের মানুষ মরি এপাড় ভাঙ্গে তো, ও পাড়ে নতুন বসতি গড়ি, প্রানের টানে মোরা ভাঙ্গি আর গড়ি নিয়তি মোদের দুর্দশায় নেই কোন কড়ি।   যমুনার খেলা দেখে মোরা পাড়ের মানুষ মরি অসহায়ের জমি ভিটা গেল বাদ নাহি তাল কড়ি, বৃদ্ধ পিতা মাতার আশা গেল সন্তানের ভরসা করি আল্লাহকে ডেকে সদা মোরা মরি।   যমুনার খেলা দেখে মোরা পাড়ের মানুষ মরি কর্তারা ব্যস্ত পাড় বাঁধতে ধ্বংস হয় কড়ি, সে সকল নিয়ে এসি রুমে নানা সভা করি হায়রে ভাগ্য মোদের দুঃখে কপাল ধরি।   
 হে কবি   হে কবি তুমি কত কিছুই না লিখছ কি লাভ তাতে ? নিভৃত কি তা ভাবছ, কথার ফুলঝুড়িতে সাধ্যের ইতিহাস রচনা করছ ক’জন বা জানে, তুমি কি লিখছ?   হে কবি তুমি কত কিছুই না লিখছ ভাল খাবার সব যে লিখছ, তন বিচারে ক’জনই বা তোমার করে পাচ্ছ লিখছ বেশ,থাকছে বেশ, বাহবা নাহি পাচ্ছ।   হে কবি তুমি কত কিছুই না লিখছ তোমার ঘর চারিপাশে তার কি কোন মূল্যায়ন পাচ্ছ, লিখে যাও, মনের অভিলাস তো পুরন করছ কত জনেই তো জীবন যৌবন শেষ করল কত জনই বা কবির স্বীকৃতি পাচ্ছ?    
দুর্ব্যবহার     দুর্ব্যবহার নিয়ে নানা কথা ভাবি কাউকে না কাউকে সহ্য করাটাই অবস্ভাবী, কষ্টের ফলে দুর্ব্যবহারের নতুন রবি সহ্য করতে বুকের তবলাটাই যায় নিবি।       দুর্ব্যবহার নিয়ে নানা কথা ভাবি নিয়তি মোদের পিছে ফেলে নাহি যায়, ভাগ্যের ফেরে সব থাকতে নিঃস্ব আজ কবি নানা কথা আর কষ্টের জালে নানা কিছু ভাবি।     দুর্ব্যবহার নিয়ে নানা কথা ভাবি দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার অবস্ভাবী, নেতা মোদের কালে স্রোতে সেজেছে কবি কবিতারা আজ আত্মনাদ করে বলে লিখ না কবি।   
   হালুম   বাবা আমার হালুম চাই কিনে দেবে তো যা চাই, ছোট সোনার হালুম চাই মা খালার ঘুম নাই।   বাবা আমার হালুম চাই নানার সাথে তা নিয়ে খেলতে চাই, মার কোন বারণ নাই তাইতো সোনা মনির খুশির অন্ত নাই।   বাবা আমার হালুম চাই সোনা মনির বায়নার শেষ নাই, মায়ের খুশির অন্ত নাই আহলাদ পুরণে বাবার জুড়ি নাই।  
পূর্ণতা   পূর্ণতার একটি নিজস্ব রুপ আছে হাজারও কথার ফুলঝুড়ি আছে, পাওয়া না পাওয়ার বেদনা আছে তবুও তো পূর্ণতা কিছু চিহৃ আছে।   পূর্ণতার একটি নিজস্ব রুপ আছে তা নিয়ে নানা মতামত আছে, মতামতের নানা বিভেদ আছে তবুও তো পূর্ণতার স্বকীয়তা আছে।   পূর্ণতার একটি নিজস্ব রুপ আছে পূর্ণতা পেতে নানা কষ্ট আছে, দুঃখময় বিস্তর পথের ইতিহাস আছে তবুও তো পূর্ণতার ঘোড়া প্রতিযোগিতায় আছে।   
 ঘোড়ার ডিম     সব কিছুতেই ঘোড়ার ডিম কথা আর নাচে চাই হাঁসের ডিম, ঘোড়া নয় মানুষের মুখের ডিম খুশিতে নাচে পদ্মালোচন আর করিম।   সব কিছুতেই ঘোড়ার ডিম অংকে কাঁচা তাইতে পরীক্ষার ঘোড়ার ডিম, কথার পাকা তাইতো পেল সিদ্ধ ডিম কালো ছেলেকে ফর্সা বানাতে ঘষল ভিম।   সব কিছুতেই ঘোড়ার ডিম খোকন সোনার চাইকো ঘোড়া নয়কো ডিম, লাগাম ধরে ঘাস খাওয়ালে পাড়বে ডিম সকল চিন্তায় খোকা বাবুর মাথা করে ঝিমঝিম।  

লেখক পরিচিতি

ড. লুৎফর রহমান তোফা ১৯৭৫ সালে মানিকগঞ্জ জেলায় দৌলতপুর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। মাতাঃ রাহিমা খাতুন পিতাঃ আব্দুল লতিফ।

তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৬ সালে স্নাত্তকোত্তর ডিগ্রী (১ম শ্রেণীতে ২য় স্থান) লাভ করেন।

তিনি ২০১০ সালে Migration & Dovelopment বিষয়ক গবেষণার জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে M. Phil. ও ২০১৫ সালে Remittance & Poverty Alleviation উপর গবেষনা করে Ph.D ডিগ্রী লাভ করেন।

তিনি ২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে চাকুরী শুরু করেন। তিনি BCS (Education), BCS (Information), BCS (Ansar) ক্যাডারে চুড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন। ইতোমধ্যে তিনি কলেজে শিক্ষকতাসহ বাংলাদেশ বেতার, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ সরকারের ৬টি সংস্থায় চাকুরী করেন।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরিচালক পদে কর্মরত আছেন।

ইতোমধ্যে তিনি ২০১০ সালে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টাক্সফোর্সে সদস্য হিসেবে জনশক্তি রপ্তানী বিষয়ে Exposure visit এ ফিলিপাইন গমন করেন। এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে তুরস্কের Pieda Okulda. Thujla হতে Batallion Commander কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি সকলের দোয়ার্প্রাথী ।